লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দিতার খবর গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন অভিনেত্রী করিনা কাপুর। স্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে করিনা সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন।
গত কয়েকদিন করিনার রাজনীতিতে আসা নিয়ে খবর ছড়াচ্ছিল। একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০১৯-এল লোকসভা নির্বাচনে ভোপাল থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করতে পারেন করিনা। এই নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলেও। তবে কি এবার রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছে পাতৌদির রানি মা?
জবাবে করিনা জানিয়েছেন, ‘রাজনীতিতে আমার কোনও উত্সাহ নেই। ভোটে লড়াই করতে চেয়ে আমি কাউকে কোনও প্রস্তাবও দিইনি। অভিনয়কেই পাখির চোখ করে আপাতত বাঁচতে চাই।’
গোটা ঘটনার সূত্রপাত ভোপালের এক পুরপ্রতিনিধির চিঠিকে কেন্দ্র করে। যোগেন্দ্র সিংহ চৌহান নামে ওই ব্যক্তি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে করিনা কাপুরকে ২০১৯-এর নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী করার আবেদন করেন। তাঁর দাবি, ভোপাল থেকে করিনা লড়াই করলে বিজেপির কাছ থেকে আসন ছিনিয়ে নিতে পারে কংগ্রেস।
ভোপাল থেকে পাতৌদি বংশের সদস্যের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার ইতিহাস রয়েছে। করিনার শ্বশুর মনসুর আলি খান পাতৌদি ভোপালেই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ভোপাল থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন তিনি। তবে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল তাঁকে।