শনিবার কলকাতা এক নজিরবিহীন ব্রিগেড সমাবেশের সাক্ষী থেকেছে। সাম্প্রতিক অতীতে ব্রিগেডে গোটা দেশের এতজন হেভিওয়েট নেতা কখনও উপস্থিত হয়নি। সেই সমাবেশে আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেই একই জায়গায় সভা করতে আসার কথা নরেন্দ্র মোদীর। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মোদীর সভা হওয়ার কথা। সেই সভায় প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
কিন্তু সেই সভা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, মার্চ মাসের শেষে রাজ্যে পরীক্ষাপর্ব মিটলে ব্রিগেডে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ব্রিগেডের আগে রাজ্যে চারটি জনসভা করতে আসছেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনটাই রাজ্য বিজেপি নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মোদীর বঙ্গ-সফর। ওইদিন শিলিগুড়িতে সভা করবেন তিনি। ৩১ জানুয়ারি ঠাকুরনগরে সভা। ২ ফেব্রুয়ারি আসানসোলে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা না করলেও প্রধানমন্ত্রী ওইদিনই রাজ্যে সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সেই সভাটি কবে হবে তা জানা যায়নি। সূত্রের খবর, ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের সভা হবে কি না, তা নিয়ে রবিবার রাত পর্যন্ত বৈঠক চলে বিজেপিতে। রাজ্য বিজেপি নেতারা ছাড়াও বৈঠকে রাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
সেখানে রাজ্য বিজেপির তরফে বলা হয়, শুধু ব্রিগেডের সভাটি করুন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লি চাইছিল, এখনই ব্রিগেড না করে দলের সাংগঠনিক পাঁচটি জোনে মোদীকে দিয়ে সভা করাতে। পুরো সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয় অমিত শাহর উপর।
সোমবার সকালে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ব্রিগেড আপাতত হচ্ছে না। তার বদলে প্রধানমন্ত্রী চারটি সভা করবেন। অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও আসবেন।