আজ ভাইফোঁটা। সারা দেশব্যাপী আড়ম্বরের সঙ্গেই পালিত হল ভাতৃবন্ধনের উত্সব। এই উত্সবে সামিল হল কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারও। ভাইদের চন্দন ফোঁটা দিয়ে যমের দুয়ারে কাঁটা ফেলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
শুক্রবার সকাল থেকেই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আনাগোনা ছিল বিশিষ্টদের। শুধু নিজের পরিবারই নয়, গোটা তৃণমূল পরিবারের সঙ্গেই ভাতৃদ্বিতীয়ার উত্সব পালন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের প্রথম সারির নেতা কর্মীরা তো ছিলেনই, এবারে মমতা বন্দ্যোপাঝধ্যায়ের কাছ থেকে ফোঁটা নিয়ে গিয়েছেন মিস্টার ইন্ডাস্ট্রিও। এমনিতে যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানেই তিনি দিদিমণির আমন্ত্রণ রক্ষা করেন। ভাইফোঁটাতেও তার অন্যথা হল না। তবে যেটা বলার বিষয়, এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে ফোঁটা নিয়ে এসেছেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়।
আরও যেটা বলার, এই উত্সবে গোটা তৃণমূল পরিবারকেই উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন ‘সবার দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সবার ছোট হওয়ার সুবাদে আরও বেশি আদর আর ভালবাসা পেয়েছেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টা ডট কমকে তিনি জানিয়েছেন, “আমি তো সবার ছোট, তাই সবার থেকে বেশি ভালবাসা পেয়েছি। সবাইকে দুটো করে পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আমাকে দিয়েছেন তিনটি”।
বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কাছে যে এই দিনটি বিশেষের থেকেও বিশেষ সে কথাও লুকিয়ে রাখেননি বাবুন বাবু। তাঁর কথায়, “রাখি আর ভাইফোঁটাতেই দিদিকে কাছে পাই। তাই এই দিনটার অপেক্ষা সারাবছরই থাকে। তিনি তো শুধু আমার দিদি নন, জনগণের দিদি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের সবার মঙ্গলকামনাতেই তাঁর বছর কাটে। এবার আমাদের অনেক ভালবাসার সঙ্গে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার কথাও বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমাদের আরও কাজ করতে হবে, আরও বড় হতে হবে”।