নতুন বছরের শুরুটা ভালই হয়েছে ধোনির। অস্ট্রেলিয়ায় ফিনিশার মাহিকে ফিরে পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট।ম্যাচের যেখান থেকেই হাল ধরুন না কেন, একেবারে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে দলকে জিতিয়ে নিয়ে আসা, সেই ভিনটেজ মহেন্দ্র সিং ধোনিই ফিরে এলেন বছরের শুরুতে। প্রাক বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে ধোনির স্বমহিমায় ফিরে আসা একদিকে যেমন তাঁর দলে থাকার প্রয়োজনীয়তাকে প্রশ্নাতীত জায়গায় নিয়ে গিয়েছে, তেমনই ভারতীয় দলের ফিনিশারের খোঁজেও আপাতত দাঁড়ি টেনেছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে টানা তিন অর্ধশতরান। ৭ বছর পর তিনি জিতে নিয়েছেন সিরিজ সেরার শিরোপাও। এই পারফরম্যান্সের পর ধোনির বিশ্বাকাপ খেলা নিয়ে কোনও প্রশ্নই এখন আর থাকছে না। বরং ধোনিকে বিশ্বকাপ দলে না রাখা হলে সেটাই হবে বড় প্রশ্ন! এমন পরিস্থিতিতে আরও এক মাইলস্টোন গড়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেন মাহি। আসন্ন কিউই সিরিজে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের কাছে সুযোগ থাকছে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার।
এখনও পর্যন্ত সচিন তেন্ডুলকরের ঝুলিতেই রয়েছে সেই রেকর্ড। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাস্টার ব্লাস্টারের সংগ্রহ ৬৫২ রান। তারপরই রয়েছেন সচিনের ‘ভাব শিষ্য’ বীরেন্দ্র সেওয়াগ। ১২ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৫৯৮। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানেই রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিউইদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ১০টি আন্তর্জাতিকে তাঁর সংগ্রহ ৪৫৬ রান।
এবারের নিউ জিল্যান্ড সফরে মোট ৮টি ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল। তার মধ্যে প্রথম পাঁচটি একদিনের ম্যাচ এবং শেষ তিনটি টি-টোয়েন্টি। এই দুই সিরিজ মিলিয়েই ধোনির কাছে সুযোগ থাকছে সচিন-সেওয়াগকে একসঙ্গে ছাপিয়ে যাওয়ার। বীরুকে টপকাতে মাহির চাই ১৪২ রান। আর সচিনের রেকর্ড ভাঙতে তাঁর প্রয়োজন ১৯৬ রান। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে তিন ম্যাচে মোট ১৯৩ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তিন অর্ধশতরানের দৌলতে দশ হাজারের ক্লাবেও পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। ধোনি নিউ জিল্যান্ডেও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারলে পুরনো রেকর্ড ভেঙে যে অনায়াসেই নতুন রেকর্ড তৈরি হবে, তা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়।