বিশ্ববাংলা বিতর্কে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, তাঁর নিজের হাতে তৈরি লোগো তিনি বিনামূল্যে রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন। সরকার যতদিন চাইবে, ততদিন এই লোগো ব্যবহার করবে। আগামীদিনে রাজ্য ব্যবহার না করলে লোগো তাঁর কাছেই ফিরে আসবে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কেও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, বিশ্বভারতী বাংলার গর্ব। বিশ্বভারতীর মতো উচ্চতায় পৌঁছাতে না পারলেও, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়াই তাঁর স্বপ্ন। সেই চেষ্টাই করছেন তিনি। মমতা জানান, গাড়িতে যেতে যেতে ১ সেকেন্ডে এই লোগো তৈরি করেছিলেন তিনি।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, “বিশ্ববাংলা লোগো আমার স্বপ্ন। স্বপ্ন কখনও বিক্রি হয় না। স্বপ্নের কোনও মূল্য হয় না।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিশ্ববাংলা নিয়ে কুত্সা রটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে অপমান করা হচ্ছে। এরপরই তাঁর হুমকি, “কুত্সা যারা ছড়াচ্ছে, তাদের কাউকে ছাড়ব না।” বিশ্ববাংলাকে অপমান করা হলে, বাংলার মানুষও ক্ষমা করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত বিজেপিতে যোগদানের পর রানি রাসমণি রোডের সভা থেকে বিশ্ববাংলা নিয়ে তোপ দাগেন মুকুল রায়। অভিযোগ করেন, বিশ্ববাংলা কোনও সরকারি সম্পত্তি নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালিকানাধীন একটি সংস্থা। সঙ্গে সঙ্গেই নবান্নের তরফে স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য ও অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা সংবাদিক বৈঠক করে সেই দাবি খারিজ করেন।
শনিবার রাজ্য বিজেপি সদর দফতরে বসে বিশ্ববাংলা নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন মুকুল রায়। কাগজ দেখিয়ে দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের হলফনামায় দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি নিয়েই তিনি আবেদন করেছিলেন। এরপর বুধবার বিধানসভায় বিশ্ববাংলা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।